January 16, 2025, 3:01 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

বিএনপি নেতা তরিকুলের জীবনাবসান

বিএনপি নেতা তরিকুলের জীবনাবসান

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম আর নেই। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার বিকালে মৃত্যু ঘটেছে তার। মৃত্যুর খবর জানিয়ে তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অনিন্দ্য ইসলাম অমিত  বলেন, আব্বু আর নেই। তরিকুলের বয়স হয়েছিলে ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ। আজ সোমবার সকাল ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ১১টা ১৫ মিনিটে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং বাদ আসর যশোর ঈদগাহ মাঠে তরিকুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যশোরে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে দলীয় কার্যক্রমে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শেষবার তিনি অংশ নেন গত ফেব্রুয়ারিতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে। যাশোর থেকে চার বার নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া তরিকুল চারদলীয় জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি প্রথমে সমাজকল্যাণ এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি সহসভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তরিকুলের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে। তার বাবা আবদুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তরিকুল ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন; বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পরও সক্রিয় ছিলেন বাম আন্দোলনে। স্বাধীনতার পর মওলানা ভাসানীর দলে থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন তরিকুল। মৃত্যু পর্যন্ত এই দলেই ছিলেন। তরিকুল যশোর থেকে প্রকাশিত লোকসমাজ সংবাদপত্রের প্রকাশক ছিলেন। যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। তরিকুলের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোক জানিয়েছেন এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদও। তরিকুলের মৃত্যুর খবরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বসুন্ধরায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তিনি প্রয়াত নেতার স্ত্রী নার্গিস ইসলাম ও তার ছেলে সুমিত ও অমিতকে সান্ত¡না জানান। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও হাসপাতালে ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর